মোঃ সেলিম রেজা,কেশবপুর প্রতিনিধি: গত তিনদিন যাবত কেশবপুর পৌরসভার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে ( আই. ইউ. জি.আই .পি) আওতাধীন প্রকল্পে পৌর ওয়ার্ডের অসহায় মহিলাদের হাঁস-মুরগি পালন প্রশিক্ষণের আজ মঙ্গলবার ছিল সমাপনী দিন। ৪০ জন অসহায় মহিলাদের মাঝে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষক ছিলেন তিনজন আব্দুল আহাদ, অলকেশ সরকার, এবং সঞ্জয় চক্রবর্তী। প্রশিক্ষণ চলাকালীন উপস্থিত হন ৪ নং ওয়ার্ড কমিশনার আফজাল হোসেন বাবু
এক পর্যায়ে তিনি বলেন এই প্রশিক্ষণে অনেক দুর্নীতি এবং অভিযোগ আমাদের কাছে ধরা পড়েছে। একই ব্যক্তি বর্গ অসহায় সেজে পরপর কয়েকটা ট্রেনিং নিয়েছে। এর আগের সেলাই প্রশিক্ষণে একই বাড়িতে দুইজন দুইটা সেলাই মেশিন পেয়েছে । সেই ব্যক্তি দ্ধয় আবার হাঁস মুরগি পালনে উপস্থিত। কমিশনার আরো বলেন এইভাবে যদি একই ব্যক্তি বারবার ট্রেনিং পেয়ে থাকেন তাহলে সমাজের উন্নয়ন হবে না। বিষয়টি খোলাসা করে কমিশনার কাছে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন কেশবপুর পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের ৯ জন কমিশনার ও তিনজন মহিলা কমিশনার মোট ১২ জন। দুইজন করে অসহায় মহিলাদের নামের তালিকা মেয়রের নিকট জমা দেয়া হয়। সেখানে মোট ২৪ জন ,বাকি ৪০ জনের ভিতরে ২৬ জন সিলেক্ট করে কেশবপুরের পৌর মেয়ার রফিকুল ইসলাম। এতেই যত অনিয়মের অভিযোগ মেয়র রফিকুল ইসলামের প্রতি । এই ট্রেনিং এর সার্বিক কার্যক্রম দেখাশোনা করেন কেশবপুর পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন এবং বাজার ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
ওনাদের নিকট অনিয়মের অভিযোগের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র মেয়র সাহেবের এখতিয়ার ফলো করি । আমাদের মধ্যে কোন অনিয়ম এবং দুর্নীতি নাই। যে নামগুলি মেয়র সাহেব আমাদের কাছে পাঠান আমরা সেই নামের ব্যক্তিদের শুধুমাত্র ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করি। প্রশিক্ষনতীদের ভাতা এবং খাবারের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন সকালে কিছু নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়।
আজ সমাপনী দিনে দুপুরে লাঞ্চের ব্যবস্থা আছে । প্রশিক্ষনর্থীদের ভাতা মেয়র এবং কেশবপুরের এসি ল্যান্ড এর মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।পৌর কমিশনের অভিযোগ প্রশিক্ষণ শেষ হতে চল্লো অথচ এখন পর্যন্ত ভাতা নির্ধারণ হয়নি, মেয়র সাহেবের মর্জির উপর নির্ভর করছে ভাতা কে পাবে । বর্তমানে মেয়র ঢাকাতে অবস্থান করায় উনার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি । প্রকল্পের হিসাব অনুযায়ী হাঁস মুরগি পালন প্রশিক্ষণে আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার বাজেট।
সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা তিনি আরও বলেন আমর মনে হয় মেয়র এবং কমিশনারদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হওয়াতে এই পরিস্থিতি। এর পূর্বে সেলাই প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ,গাড়ি চালানো প্রশিক্ষণ এই প্রকল্পের আওতাধীন হয়েছে এবং সামনে এই সরকারের অধীনে আরো বাস্তবায়িত হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।